এক রকম জীবনের পোর্ট্রেট  

লুৎফুল হোসেন

                                     

হতে পারতো একশো দশটা মাসের পরও সেই
মদির সুরভি পেয়ে গেলে পাঞ্জাবীর শরীর থেকে।
হতে পারতো হাতাটায় যেমন, গোটানো ছিলো ভাঁজ
তেমনি নিপাট পেলে তাকে যত্নের সুরম্য র‌্যাকে।

হতে পারতো সাতশো তিরিশ দিনের পরও
সেই সুগন্ধি ছড়ালো সাজানো ফুল। যার
দেহের ভেতরে বাইরে আদৌ নেই কোথাও
একাধি বসন্ত হারাবার দীর্ঘ স্মৃতিভার।

হয়তো পৃথিবীর তাবৎ সময় শুধু, শুধুই আমার
অনুগত সুবোধ বালকের মতোন নিরীহ, নিরপরাধ !
পদার্পণ করে প্রতিবার, সময়ের একই ঘরে যার
আদপে চেষ্টা নেই গতির। যদিও সে চলমান অবাধ !

হতে পারতো প্রথমে দেখার দিনের মতোন থেকে যেতো,
প্রতিদিন। প্রথম বৃষ্টি ভেজার মতোন প্রতিটি বর্ষণ।
হতে পারতো প্রথম চুমুর মতোন চির শিহরিত ক্ষণ,
প্রতিক্ষণ। বাসর রাতের মতোন তীব্র নিশির মাতন।
প্রতিরাত। হতে পারতো পূর্ণিমায় পূন্যস্নানের মতোন,
রূপালী আলোর আলিঙ্গন সিক্ত জীবনের কলতান।

সন্তানের প্রথম ডাক – জগৎ ভোলানো স্বর্গীয় আধো উচ্চারণ।
পৃথিবীর তাবৎ শিল্পীর সাধনা অতীত, যেনো সফল এক গান,
ঐকতান। হতে পারতো। অথচ নিরন্তর বদলের দৃশ্যদল,
থেমে অবিকল, জীবন শুধু আজ সুদৃশ্য শোভন ফ্রেমে
বাঁধা পড়া ছবি একখান … … !

Top

Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments


Copyright © 2023. All Rights Reserved.