অবসরে অবৈতনিক
ফরিদ তালুকদার
কখনো ভাবি অন্যকিছু লিখবো
এই যেমন-
জলের দরে দুঃখ বিক্রি করা, আনন্দের বাজারে ঘুরে ঘুরে তার ঘ্রাণ নেয়া, রজনী ঘোর হলে দু’চোখ মুদে ঝাড়বাতির নিচে মধুবালার ‘পেয়ার কিয়া তো ডর না কিয়া’ এর সাক্ষাৎ দর্শক হওয়া
কিংবা-
একটু এগিয়ে হলিউডি সুপারহিট উজবুকি র্যাম্বো ছবি নিয়ে দু’কথা বা-
অনেকেই যেমন লিখেন-
তুমি-আমি ভালোবাসা, কসরত করে সাজানো বিরহের চল্লিশ লাইনের এক পানশালা…
এইসব আরকি
কিন্তু নাহ্–
হয়ে উঠে না!
আমার অনুর্বর মস্তিষ্কে এখন আর তেমন কোনো গঞ্জিকার চাষ হয় না!
পানির সংকটে আফ্রিকায় যে আদিবাসীর জীবন শুকিয়ে কাঠ
যেখানে এক ঘড়া জলের দামে একটি জীবন বিকোয়
তাদের কেউ এমন লেখার প্রথম লাইনেই তো আমাকে বরখাস্ত করে দিবেন!
পড়শী মহলে যাদের কাছে একটা কাঁচা মরিচের দাম কারোর একদিনের জীবনের সমান
তাদের কেউ হয়তো বলে উঠবেন ‘এ কোন উন্মাদ’!?
যেখানে মানুষ বিকোয় শূণ্য মূল্যে, সেখানে তার দুঃখের বেচাকেনা!?—
বনেদি পাঠশালার এক গরীব শিক্ষক (হাল আমলের নয়) তার ছাত্রদের বলেন-
জানো তো?—
আমজনতার স্বপ্ন বেশিদূর এগোতে নেই
তাহলে বাঁশের কঞ্চিতে জড়িয়ে যাওয়ার সমুহ সম্ভাবনা, ওখানে মৃত্যুর গন্ধ!
আমি তাই আর অমন কিছু লিখতে বসি না!
একটা আগুনের কুন্ডলী—
একটা অগ্নিকুন্ডকে বুকে ধারণ করে থাকি নিশিদিন!
‘কয়লা পুড়লে তার ধোঁয়ায় সান্ধ্য আকাশের রঙ বদলে যায় কিন্তু-
জীবন বদলায় না!’
তবুও কেন যে পড়ে থাকি অবৈতনিক এই শব্দের ঘরে!?
কয়লা পুড়লে তার ধোঁয়ায় সান্ধ্য আকাশের রঙ বদলে যায় কিন্তু-জীবন বদলায় না!
____ জীবনে যেখানে আজ আমরা দাঁড়িয়ে আছি, এতো সহজেই কি তা বদলে ফেলা যায় নাকি তা আদতেই সম্ভব? প্রশ্নটা যে শুধু আজ বিবেকের কাছেই।
ভালোবাসা ভাইয়া❤️🙏