কৌতুক
সংগ্রহঃ জাফর আব্বাস
যার যেমন স্বপ্ন
এক ভিক্ষুক শপিং মলের সামনে ভিক্ষা করতো। আয় রোজগার মন্দ হতো না। কিন্তু কিছুদিন পর সেখানে আরো ভিক্ষুক আসতে শুরু করলো। স্বভাবতই তার আয় কমে গেলো। সে অন্য এক শপিং মলের সামনে অবস্থান নিলো। কিছুদিন ভালো চলার পর সেখানেও অন্য ভিক্ষুকরা আসতে শুরু করলো। এইভাবে কয়েকবার স্থান পরিবর্তনের পর সে ভিক্ষুকদের উপর যারপরনাই বিরক্ত হলো। একদিন দুপুরে অন্য ভিক্ষুকের দল থেকে একটু দূরে বসে সে ভিক্ষা করছিলো। আয় রোজগার মোটেই ভালো না। আজকাল লোকজন কেমন যেন কৃপণ হয়ে গেছে, আগের মোট হাত খুলে দান করে না। তার ঝিমুনি এসে গিয়েছিলো। আধো আধো ঘুমে সে স্বপ্ন দেখছিলো, কোটি কোটি টাকার লটারী পেয়েছে। সেই টাকা দিয়ে সে নিজেই এক শপিং মল বানিয়েছে। তারপর সেই শপিং মলের সামনে সে একাই ভিক্ষা করছে। অন্য ভিক্ষুক আসলে তার দারোয়ানরা তাড়িয়ে দিচ্ছে। আঃ কি শান্তি !!!!
লেজের আগুন
একটি বুড়ো ঈগল এবং একটি তরুণ ঈগল একদিন দুপুরে আকাশে উড়ছিল। এমন সময় একটি যুদ্ধ বিমান পেছনে আগুন ছুড়তে ছুড়তে প্রচন্ড শব্দে অত্যন্ত দ্রুত বেগে উড়ে গেলো।
তাই দেখে তরুণ ঈগল বললো:
– দেখেছো কি দ্রুত বেগে উড়ে গেলো ! একেই বলে গতি।
বুড়ো ঈগল বললো :
– ও’ এমন কিছু নয়। লেজে আগুন লাগলে তুমিও এর চাইতেও দ্রুত বেগে ছুটবে !!! !!!
Russian Prime Minister Mishustin comes to Putin and nervously tells him to abolish time zones.
“I fly to another city, call home and everyone is asleep. I woke you up at 4AM but I thought it was only evening.”
I call Olaf Scholz to congratulate him on his birthday and he tell me he had yesterday.
I wish the Chinese President a happy New Year, and he says it will be tomorrow.”
“Indeed” Putin replies “but that is only minor stuff. Remember when that plane crashed with Prigozhin on board? I called his family to express my condolences, but the plane hadn’t taken off yet!”
এক সিংহ বন থেকে বেরিয়ে প্রানপনে দৌড়ে পালাচ্ছিলো। পথে হাতী ওকে থামালো।
হাতী: কি হয়েছে, পালাচ্ছো কেনো?
সিংহ: এইমাত্র সরকার আদেশ দিয়েছে বনের সব বাঘকে গ্রেফতার করা হবে, তাই পালাচ্ছি।
হাতী: গ্রেফতার করা হবে বাঘ সে তো বুঝলাম, কিন্তু তুমি পালাচ্ছো কেনো?
সিংহ: পুলিশ যদি ভুল করে আমাকেও গ্রেফতার করে চালান করে দেয়, তা’হলে আমি যে সিংহ বাঘ নই, এটা আদালতে প্রমান করতেই কম করে হলেও দশ বছর লেগে যাবে। তাই আগে থেকে কেটে পড়ছি।
কে নকল কে আসল
প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি গ্রামের স্কুলে পরিদর্শক এসেছেন শহর থেকে, আকস্মিক পরিদর্শনে । তিনি ঢুকলেন অষ্টম শ্রেণীতে। বিজ্ঞানের ক্লাস চলছে। প্রথম বেঞ্চে বসা এক ছাত্রকে পড়া ধরলেন।
পরিদর্শক: বলতো খোকা সৌরজগতে কয়টি গ্রহ ?
ছাত্র : সঠিক বলতে পারবো না, তবে একশোর কম হবে না।
পরিদর্শক: তুই ক্লাস এইটে উঠলি কিভাবে ? আমি তোর নাম কেটে দেবো।
ছাত্র : আমার তো স্কুলের খাতায় নামই নাই , আপনি নাম কাটবেন কিভাবে ?
পরিদর্শক: তার মানে ?
ছাত্র : আমি তো স্কুলের মাঠে গরু চরাচ্ছিলাম, স্যার এসে বললো “পাঁচটি টাকা দেবো, তুই ক্লাসে কিছুক্ষনের জন্য বসবি?” সে জন্যই আমি এখানে বসে আছি।
পরিদর্শক (খুব রেগে): ছিঃ মাস্টার সাহেব শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা করছেন, আপনার লজ্জা করে না ? আমি আপনাকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করবো।
শিক্ষক: আমাকে ভয় দেখাবেন না, আমি মাস্টার না। স্কুলের সামনে মুদি দোকান চালাই , মাস্টার সাহেব বললেন “শহর থেকে শালী সপরিবারে বেড়াতে আসছে, আমি একটু বাজারে গেলাম, তুই ঘন্টাখানেক ক্লাস ঘরে থাকিস” আমি তাই এখানে বসে আছি।
পরিদর্শক (খুব রেগে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে গেলেন): আপনি প্রধান শিক্ষক হয়ে এভাবে স্কুল চালাচ্ছেন?
প্রধান শিক্ষক: কেনো কি হলো, কোনো সমস্যা ?
পরিদর্শক: নকল ছাত্র শিক্ষক দিয়ে স্কুল চালাচ্ছেন, আপনার লজ্জা করে না ?
প্রধান শিক্ষক: দেখুন আমি তো প্রধান শিক্ষক নই। আসলে আমার মামা এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি জমি বেচাকেনার দালালীও করেন। আজ সকালে এক কাস্টমারকে পাশের গ্রামে জমি দেখাতে নিয়ে গেছেন। আমাকে বলে গেছেন “ভাগ্নে আজ আমার হয়ে একটু স্কুলে বসিস। কেও আসার কথা নাই কিন্তু যদি কোনো পরিদর্শক এসেই পড়ে তাহলে তার হাতে এই বান্ডিলটা দিয়ে দিস। “
পরিদর্শক বান্ডিল খুলে গুনে দেখেন পুরো দশ হাজার টাকা আছে। তাকে খুব খুশি মনে হলো।
পরিদর্শক (হাসি মুখে): এই যাত্রায় খুব বেঁচে গেলেন। আমিও আসল পরিদর্শক নই, আমার কাকা স্কুল পরিদর্শক আবার ঠিকাদারির কাজও করেন। আজ তাকে একটি বড় কাজের টেন্ডার দাখিল করতে হবে , আমাকে বললেন “তুই আজ আমার হয়ে পরিদর্শন করে আয়, যা পাবি অর্ধেক তোর”। যাক আজ আমার আয় মন্দ হলো না। আপনারা চালিয়ে যান, আমি এবার আসি।
এই বলে পরিদর্শক প্রস্থান করলেন ।
চোর পুরোহিত সংলাপ
চোর: আমি একটি পাপ করেছি, আমি এর প্রায়শ্চিত্ত করতে চাই।
পুরোহিত : পুরো ঘটনা খুলে বলো।
চোর : আমি একটি মোরগ চুরি করেছি। মোরগটি আপনাকে দিয়ে পাপ মোচন করতে চাই।
পুরোহিত : চুরি করা মুরগি আমি নিতে পারবো না। তুমি প্রকৃত মালিককে মোরগটি ফেরত দাও, তাতেই সব পাপ মোচন হবে।
চোর : আমি মোরগটি ফেরত দিতে চাইলাম, কিন্তু মালিক তা ফেরত নিলো না।
পুরোহিত : সে ক্ষেত্রে তুমি মোরগটি রেখে দিতে পারো, কোনো পাপ হবে না।
চোর : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
এই বলে চোর খুশি মনে চলে গেলো। সন্ধ্যাবেলা পুরোহিত দেখেন তার সবচেয়ে বড় মোরগটি বাড়িতে ফেরত আসেনি। রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে পুরোহিত চোরকে ডেকে পাঠালেন।
পুরোহিত : তুই আমার মোরগ চুরি করেছিস, এখন ফেরত দে তা নইলে তার অনেক পাপ হবে, তুই নরকে যাবি।
চোর : সকালে তো আমি মোরগটি আমি আপনাকে দিতে চাইলাম। আপনি ফেরত নিলেন না, এবং বললেন মালিক ফেরত না নিলে আমার কোনো পাপ হবে না। ওই মোরগ দুপুরে আমরা খেয়ে ফেলেছি।
পুরোহিত : অত শত বুঝি না, আমার মোরগ ফেরৎ দিবি।
চোর : হুজুর আমি চোর হতে পারি, কিন্তু সকাল বিকাল কথার পরিবর্তন করিনা। আপনি পুরোহিত হয়ে সকালে এক কথা আবার বিকালে আরেক কথা বলছেন এই পাপ সৃষ্টি কর্তা সইবে না।
এই বলে চোর গট গট করে হেটে চলে গেলো। পুরোহিত বিস্ফোরিত নেত্রে চোরের গমন পথের দিকে তাকিয়ে রইলেন।
মধ্যবিত্তের আধ্যাত্বিকতা
মফিজ সাহেব একজন সাদাসিদা মানুষ। সারাজীবন সংসারের ঘানি টেনেছেন। এখন অবসরে। একদিন সকালে হঠাৎ তার ভেতরে আধ্যাত্বিক ভাব এলো। তিনি চোখ মুদে ভাবতে চেষ্টা করলেন:
– আমি কে?
– আমি কোথা থেকে এসেছি
– আমি কেন এখানে এসেছি ?
– আমার গন্তব্য কোথায় ?
শুধু মাত্র ধ্যানটা প্রগাঢ় হয়ে এসেছে, এমন সময়ে রান্নাঘর থেকে স্ত্রীর কণ্ঠ ভেসে এলো:
– তোমার মতো এমন অলস লোক আর একটাও দেখিনি, কাজের মধ্যে খাওয়া আর ঝিমানো !
– কোন চুলা থেকে তুমি এসেছ কে জানে?
– তুমি এসে আমার জীবনটা ছারখার করে দিলে।
– বসে না থেকে এখন ব্যাগ নিয়ে বাজারে যাও।
মফিজ সাহেব তার সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেলেন। তারপর তিনি প্রসন্ন চিত্তে ব্যাগ হাতে বাজারে রওয়ানা হলেন।
Sri Lanka – China – Canada
Once a Sri Lankan origin Canadian named Kanda Swami met a Chinese origin Canadian in Toronto. Kanda Swami was surprised to know that name of the Chinese man was also Kanda Swami.
Sri Lankan Kanda Swami: “How did you get a Sri Lankan name being a Chinese?”
Chinese Kanda Swami: “Many years ago, when I came to Canada, I was standing in the line at a Political Asylum office. The man ahead of me was a Sri Lankan Tamil refugee.”
The Canadian lady at the counter looked at him and asked: “What is your name?”
Tamil refugee replied: “Kanda Swami.”
After processing his papers, she looked at me and asked: “What is your name?”
I said: “Sem Ting.”
The lady replied: “Thanks, you can go now”.
After few days I received my immigration papers and found that they changed my name to “Kanda Swami”.
আধুনিক সুচিকিৎসা
ডাক্তার: আমাদের ক্লিনিকে উচ্চ শিক্ষিত ডাক্তার আর সর্বাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম আছ। আমি ১০০ ভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছি অপারেশানের পর আপনি হেঁটে বাড়ি ফিরবেন I
রোগী: বুঝেছি।
ডাক্তার: কি বুঝলেন?
রোগী: ক্লিনিকের বিল দেয়ার পর আমার পকেটে রিকশা ভাড়া দেওয়ার মতো পয়সাও থাকবে না।
# হিমাচলের বাসিন্দা জগন আমাদের অফিসের বেয়ারা। কোয়ার্টারে একাই থাকে। ছুটি না পাওয়ায় বেচারা বছর তিনেক হলো বাড়ি যেতে পারেনি। হঠাৎ সেদিন দেখি অফিসে সবাইকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছে। দেশ থেকে খবর এসেছে ওর ছেলে হয়েছে।
আমি ডেকে বললাম , “জগন্নাথ, এরকম খুশখবরী হলো কিভাবে ? তুমিতো অনেকদিন বাড়ি যাওনি!”
নিরুত্তাপ জবাব এলো, “আমাদের মুলুকে এটা একটা সাধারণ ঘটনা। বাড়ির পুরুষরা বাইরে থাকলে আত্মীয়স্বজন আর প্রতিবেশীরাই বউদের দেখভাল করে।”
বড়বাবু রসিকতা করে জিজ্ঞেস করলেন, “ছেলের পদবী কী হবে তাহলে ?”
শুনে জগনের জবাব, “এটা নির্ভর করছে কে দেখভাল করেছে তার ওপর । যদি দুজন প্রতিবেশী করে থাকে তবে দ্বিবেদী, তিন জন করে থাকলে ত্রিবেদী আর চার জন হলে চতুর্বেদী!!”
এটা শোনার পর প্রশ্নের ঝড় বয়ে গেলো। প্রেস কনফারেন্সের কায়দায় জগন এক এক করে তার জবাব দিল… “সবাই মিলে যদি দেখভাল করে থাকে তাহলে মিশ্র, যদি বউ প্রতিবেশীর পরিচয় জানাতে লজ্জা পায় তাহলে শর্মা, যদি নাম গোপন রাখতে চায় তাহলে গুপ্তা, আর যদি মনেই না করতে পারে তাহলে ইয়াদব!!”
অফিসের কমবয়েসীরা ফোড়ন কাটলো, “কেউ যদি জোর করে দেখভাল করে থাকে কিংবা তোমার বউ যদি নিজেই এগিয়ে যায় ?”
জবাব এলো, “প্রথম ক্ষেত্রে দোশী আর পরেরটায় জোশী!!”
সব শুনে বড়বাবু বলে উঠলেন, “ব্যাটার জন্মের পেছনে দেখি গোটা দেশের অবদান রয়েছে।”
#জগন গম্ভীর হয়ে বললো, “সেক্ষেত্রে পদবী হবে দেশপান্ডে!!”
A priest dies and goes to Heaven.
Sometime after he arrived, he noticed that one of the other people in Heaven, a New York City cab driver, was being treated with much more respect than he was.
So he went to the Lord and asked, “Lord, why is that man being treated much better than me when all he did for a living was drive a taxi cab when I dedicated my life to teaching others about you?”
The Lord asked, “When people came to your church, were they always alert and paying close attention to you?”
“No.” the priest admitted, “In fact, they would even fall asleep sometimes during my sermons.”
“Well, that man was a cab driver in New York City,” said the Lord, “And not only were the people he drove very wide awake, but they were usually praying.”
“ফ্রি” দেখলেই বুঝবেন ঝামেলা আছে
একলোক একটি চিড়িয়াখানা বানালো। অনেক টাকা খরচ করে প্রচুর পশু পাখি আনল। প্রবেশ মূল্য রাখলো প্রতিজন ৫০০ টাকা। কোনো দর্শক এলোনা।
মালিক প্রবেশ মূল্য কমিয়ে করলো প্রতিজন ২০০ টাকা, এতেও কেও এলোনা।
প্রবেশ মূল্য আরো কমিয়ে করলো প্রতিজন ৫০ টাকা, এরপরও কেও এলোনা।
হতাশ মালিক চিন্তায় পড়ে গেলো, কি করা যায়? ভেবে ভেবে সে একটি উপায় খুঁজে পেলো। এরপর সে বললো এখন থেকে কোনো প্রবেশ মূল্য থাকবে না, একদম “ফ্রি”।
কিছুক্ষনের মধ্যে চিড়িয়াখানা মানুষে পূর্ণ হয়ে গেলো।
সেই ফাঁকে মালিক চিড়িখানার প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দিলো , সেখানে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিলো “বের হওয়ার টিকেট: ৫০০ টাকা প্রতিজন”। তারপর চুপে চুপে সিংহের খাঁচার মুখ খুলে দিলো। আতংকিত লোকজন ৫০০ টাকার টিকেট কিনে হুড়মুড় করে চিড়িয়াখানা থেকে বের হলো।
মূল কথা: “ফ্রি” দেখলেই বুঝবেন ঝামেলা আছে। এই পৃথিবীতে কোনো কিছুই “ফ্রি” নয়।
যেখানে বউ এর ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়…!!!
মি.মুখার্জি সারাদিন কাজ করেন অফিসে, কাজ শেষ করে প্রায়শই রাত হয় বাড়ী ফিরতে……
স্ত্রী অনুভব করলেন ব্যাপারটা, আহা কি পরিশ্রমটা না তার স্বামী করছেন…!
দুদিন পর স্বামীর জন্মদিন। স্ত্রী ঠিক করলেন স্বামীকে নিয়ে একটা নাইটক্লাবে যাবেন একটু আনন্দ দিতে…!
ক্লাবে ঢুকতেই, ডোর ম্যান (দারোয়ান) মি.মুখার্জি কে দেখে বললেন—
‘স্যার, কেমন আছেন…???’
স্ত্রী একটু বিচলিত হয়ে বলল—
‘কী ব্যপার, তুমি এখানে রোজ আসো না কি…???’
স্বামী :- “আরে না না, কি যে বলো না তুমি.? ওই ডোর ম্যানটা দিনের বেলা আমাদের অফিসে পিয়নের কাজ করে।”
ক্লাবের ভিতরে গিয়ে চেয়ারে বসতেই ওয়েট্রেস এসে মি.মুখার্জি কে দেখে একগাল হাসি দিয়ে জিজ্ঞেস করল :-
‘আপনার ফেভারেট ড্রিন্কটা দেব স্যার…???’
স্ত্রী একটু অস্থির হয়ে স্বামীকে বলল—
‘তুমি নিশ্চয়ই এখানে প্রায়ই আসো, নাহলে ও তোমার প্রিয় ড্রিন্ক কি সেটা জানলো কি করে…???’
স্বামী :- “না গো এই ওয়েট্রেস মহিলাও দিনের বেলা আমাদের অফিসের ক্যান্টিনে কাজ করে…!”
এই সময় বারড্যান্সার (নর্তকী) এসে মি.মুখার্জির শরীরে হাত পেঁচিয়ে বলল :- ‘ডার্লিং আজ তোমার পছন্দের নাচটা দিয়ে শুরু করি…???’
স্ত্রীর আর সহ্য হল না। ঝড়ের বেগে ক্লাবের বাইরে এসে একটা ট্যাক্সিতে উঠে বসলেন। সাথে সাথে মি.মুখার্জি ও ছুটে এসে স্ত্রীর পাশে এসে বসে পড়লেন……
এবার রাগে স্ত্রী চিৎকার শুরু করলেন।
ট্যাক্সি চালক পিছন ফিরে বলল : – “স্যার মনে হচ্ছে আজ এক মেজাজী মহিলাকে নিয়ে এসেছেন..!? অন্যদিন তো এমন হয় না স্যার…!!!”
স্যার এখন হাসপাতালে ভর্তি…!!!😂😂😂😂
ডোনাল্ড ট্রাম্প মরার পর নরকে গিয়ে দেখলো বিভিন্ন দেশের নামে নরকগুলোর নাম। তার জন্য যেকোন দেশের নরকে যাওয়ার ছাড় দেয়া হয়েছে। আমেরিকার নরকে গিয়ে পাহারাদারকে জিজ্ঞেস করল-এখানে শাস্তি টাস্তি কেমন? পাহারাদার বলল- সবার প্রথমে ইলেক্ট্রিক চেয়ারে বসিয়ে ১ ঘন্টা ইলেক্ট্রিক শক দেয়া হয়। তারপর পেরেকের বিছানায় এক ঘন্টা শোয়ানো হয়। এরপর এক দৈত্য পিঠে ৫০ টা চাবুকের ঘা দেয়… এটা শুনে ট্রাম্প খুব ভয় পেয়ে গেলো ও ভাবল একবার রাশিয়ার নরকে গিয়ে দেখা যাক। ওখানেও পাহারাদার একই কথা বলল। সে সব দেশের নরকে গেলো, আর সব পাহারাদারই একই শাস্তির কথা বলল। শেষে সে এক জায়গায় পৌছালো, যেখানে দরজায় লেখা ছিলো- বাংলাদেশের নরকে আপনাকে স্বাগতম। আর দরজার বাইরে মানুষের লম্বা লাইন…..।
ট্রাম্প ভাবল এখানে নিশ্চয়ই কম শাস্তি দেয়া হয়, তাই এত লম্বা লাইন। পাহারাদারকে জিজ্ঞেস করল- এখানে কেমন শাস্তি দেয়া হয়?
পাহারাদার বলল- সবার প্রথমে ইলেক্ট্রিক চেয়ারে বসিয়ে ১ ঘন্টা ইলেক্ট্রিক শক দেয়া হয়। তারপর পেরেকের বিছানায় এক ঘন্টা শোয়ানো হয়। এরপর এক দৈত্য এসে ৫০ টা চাবুকের ঘা দেয়।
ট্রাম্প বিস্মিত হয়ে পাহারাদারকে জিজ্ঞেস করল- এই একই রকম শাস্তি তো সব দেশের নরকেই দেয়া হয়, তো এই নরকে এত ভিড় কেনো?
পাহারাদার বললঃ এখানে ইলেকট্রিক চেয়ার তো আছে কিন্তু কারেন্ট নেই। পেরেকের বিছানা থেকে পেরেক চুরি হয়ে গেছে। ফাইল এত জমে গেছে যে, আজকে নাম লেখালে কবে যে ডাক আসবে তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই, ততদিন আরাম। আর যে দৈত্যটি চাবুক মারে সে একজন সরকারি কর্মচারী। আসে, খাতায় সই করে বাড়ি চলে যায়। আর এক আধ দিন যদিও বা বেশিক্ষন ডিউটি দেয় তো ঐ দিন দু-একটা চাবুক মারে, আর রেজিস্টারে ৫০ টা চাবুকের ঘা লিখে বেরিয়ে যায়। তারমানে আরাম আর আরাম।